ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ১৬০ জন নিখোঁজের তালিকা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল বিকেল থেকে কয়েকশ লোক কারখানার ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। লুটপাট শেষে রাতে একাধিক ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে এলেও তাঁরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি সারা রাতেও।’ লুটপাট ঠেকাতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থ ও কাঁচামালের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে গাজী গ্রুপের মালিক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে আদালতে তোলার খবর এলেই একদল দুর্বৃত্ত গাজীর টায়ার কারখানায় হামলা চালায় এবং লুটপাট শুরু করে।
লুটপাটের একপর্যায়ে এক পক্ষকে ভেতরে রেখে আরেক পক্ষ আগুন ধরিয়ে দেয় বলে দাবি করছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।