1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, যা বললেন সিটি ব্যাংকের এমডি

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১
  • ১৯৫ ০০০

মা’দক মাম’লায় গ্রে”প্তার চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মক’র্তা মাসরুর আরেফিন- সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তবে এ সংবাদকে মিথ্যাচার বলে দাবি করছেন মাসরুর নিজেই। তার দাবি, গাড়ি উপহার দেওয়া তো দূরের কথা পরীমনির সঙ্গে কখনোই দেখা হয়নি এ ব্যাংক কর্মক’র্তার। গত জুনে ‘উত্তরা বোট ক্লাব’ ঘটনায় পত্রপত্রিকার মাধ্যমে পরীমনি নামটা শুনেছেন মাত্র।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এ বি’ষয়ে রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন তিনি।  পাঠকদের জন্য পোস্টটিতুলে ধ’রা হলো-

‘আমেরিকায় বিএসইসি আয়োজিত বিনিয়োগ রোড শো-তে অংশ নিয়ে আমি এখন ঢাকার পথে। এর মধ্যেই শি’কার হলাম এক প্রবল মিথ্যাচারের। (একটি গণমাধ্যম) লিখে দিল- ‘একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিনের সঙ্গে পরীমনির অডিও রেকর্ডে একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমনির গভীর সখ্যের বি’ষয়টি কথোপকথনে উঠে এসেছে।’

আমা’র কোনোকিছু বলার কোনো ভাষা নেই।

আমি এই মর’্তের পৃথিবীতে, এই ধ’রাধামে পরীমনি নামের কাউকে দেখিনি। অতএব তার নম্বর আমা’র কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এমনকী ‘বোট ক্লাব’ ঘটনার আগে পর্যন্ত পরীমনি নামটাও শুনিনি। আমা’র তখন মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল যে, কে এই পরীমনি?

আমা’র কাজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাংকিং আর তারপর সাহিত্য নিয়ে পড়ে থাকা। ঢাকার কেউ (যারা ক্লাবে যান তাদের কেউও) বলতে পারবেন না তারা আমাকে কোনোদিন কোনো ক্লাব বা পার্টিতে দেখেছেন (এখানে আমি ক্লাব বা পার্টিতে যাওয়ার নিন্দা করছি না, সেটা যারা যাব’ার তারা যেতেই পারেন; আমি শুধু বোঝাচ্ছি যে মানুষ হিসাবে আমা’র টাইপটা কী?)। এতটাই অফিস ও ঘরমুখী এক মানুষ আমি।

অতএব বলছি, পরীমনিকে গাড়ি দেওয়ার কথাটা আমা’র কানে লাগছে মঙ্গল গ্রহের ভাষায় বলা কিছুর কথার মতো।
আমা’র নিজের একটাও গাড়ি নেই। ব্যাংক আমাকে চলার জন্য গাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে, তাতেই চড়ি। ব্যাংকের চাকরির শেষে নিশ্চয় কোনো ব্যাংক থেকে কার লোন নিয়ে একটা গাড়ি কিনে তাতে চড়ব।

কোনো অ’ভিযোগের মধ্যে মিনিমাম মিনিমাম এক সুতো সত্য থাকতে হয়। কিন্তু এ এক ভ’য়’ঙ্কর বি’ষয় যে, আমি যাকে চিনি না, জীবনে যার বা যাদের সঙ্গে হ্যালো বলা দূরে থাক, যাদের নামটা পর্যন্ত আমি প্রথম জানলাম এই কদিন আগে, সেই নায়িকা বা মডেলকে আমি গাড়ি দিয়ে ফেললাম? কোথায় যোগাযোগ হল আমা’দের? ফোন কল? তার নাম্বার কী? কল রেকর্ড আনা হোক।

তাহলে ঘটনা কী? আমি সত্যি জানি না, ঘটনা কী। বুঝি যে, আমাকে নিয়ে (অর্থাৎ এক অর্থে সিটি ব্যাংক নিয়ে) একটা ‘সস্তা’ ষড়যন্ত্র চলছে।

গণমাধ্যমটির খবরে ওরা দেখেন সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের নামটা পর্যন্ত লিখতে পারেনি। লিখেছে- ‘ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমনির গভীর সখ্যের বি’ষয়টি..।’ শওকত রুবেল নামের মানুষটা কে? এই নামে তো কেউ নেই।

আমা’র ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নাম আলাদা। সেটা শওকত রুবেল না। আমা’র অনুমান এই যে, ব্যবসায়ী জনাব শওকত আজিজ রাসেল আমা’দের ব্যাংক চেয়ারম্যানের ছোট ভাই। একটা গোষ্ঠী তার হয়তো ক্ষ’তি চায়, এবং তারা তাদের সেই চাওয়ার সঙ্গে তাকে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান ভেবে নিয়ে ব্যাংক প্রধান হিসেবে আমাকেও নিষ্ঠুর ও বাছবিচারহীন এক সামাজিক নর্দমা’র মধ্যে ঠেলে দিতে এক মুহুর্ত দ্বিধা করলেন না।

তারা বুঝলেন না যে, ‘আগস্ট আবছায়া’ (বঙ্গবন্ধু হ’ত্যাকাণ্ডের ওপরে চার বছরের গবেষণার শেষে লেখা আমা’দের অন্যতম এক প্রধান উপন্যাস), ‘আলথুসার’ বা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ নামের উপন্যাসের লেখকের, বাংলায় ‘ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র’ কিম্বা ‘হোমা’রের ইলিয়াড’-এর এই অনুবাদকের এক পয়সা দুর্নীতির টাকাও থাকতে পারে না যা দিয়ে তিনি নিজের জন্য—ব্যাংক লোন নেওয়া ব্যাতিরেকে—একটা বিলাসী বা ভাল গাড়ি কিনতে পারেন। অন্যকে কিনে দেবার কথা বাদই দিন।

এবার লেখক সত্তার জায়গা থেকে একটা কথা বলি। আইনী বি’ষয় ও সামাজিক বোঝাপড়ার বি’ষয়গু’লো বেশ তো গু’লিয়ে যাচ্ছে! আমা’র কাউকে কোনো গাড়ি দেবার সামর’্থ্য নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমা’র কাউকে ধরুন ভালো লাগল (যার সম্ভাবনা বাস্তবে কম, কারণ আমা’র দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে এক সুন্দর সংসার আছে), তখন তাকে যদি আমি আমা’র সামর’্থের মধ্যে দুই বক্স চকলেটও কিনে দিই, সেটা নিয়ে আইন ছাপিয়ে, সংবিধানের মৌলিক অধিকার ছাপিয়ে ‘সমাজের বিচার’ নামের যে-এক ড্রা’গন আছে, সে এই সোশাল মিডিয়ার যুগে হাউ-হাউ করে উঠবে।

ব্যক্তি স্বাধীনতার সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্নকে টেনে টেনে এনে আইনের আরও ‘উর্ধ্বেই’ বা ‘বাইরেই’ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দৈনন্দিনের বাছ-বিচারগু’লোকে। এরকম সমাজে অনেকের লাভ, কারণ আমর’া সাধারণ মানুষেরা তখন ইতিহাসের ল্যাব’রেটরিতে কাঁউ-কাঁউ করে বেড়ানো ইঁদুর হয়ে থেকে যাই। আমা’দেরকে সেই ইঁদুর হওয়ার বিরু’দ্ধে লড়তে হবে। ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতি মুহূর্তের একটা ‘ongoing work’ । এই রা’ষ্ট্র আমা’দের স্বাধীনতাগু’লো—স্বাধীনতার যে কাজটুকু অন্যের জন্য ক্ষ’তিকর না—এভাবে কেড়ে না নিক। বাস্তবেই অনেক ক্ষ’তিকর কিছু ঘটছে অনেক দিকে, অনেক অবিচার ও আর্তনাদের ময়লা উড়ছে অনেক অনেক কোনায়। সেদিকে চোখ থাকুক আমা’দের।

শেষ কথা একটাই, আমি আমা’র মানব জীবনে এই নায়িকা বা মডেলদেরকে দেখিনি। তাদের সঙ্গে না-দেখা জগতের ফোনের যে-হ্যালো, সেটাও কোনোদিন বলিনি। তারা কারা’ তাও আমি জানতাম না ‘বোট ক্লাব’ কাণ্ডের আগে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony