গত মঙ্গলবার রাতে কোনো সতর্কবার্তা না দিয়েই ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। প্রাথমিকভাবে ইসরায়েল এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা প্রকাশ না করলেও অবশেষে তাঁরা বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানাল।
তবে ঠিক কতগুলো বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলোতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। দেশটির সশস্ত্রবাহিনী জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানঘাঁটিগুলোর অফিস ভবন ও রক্ষণাবেক্ষণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনী বিমানঘাঁটিগুলোতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘অকার্যকর’ বলে ঘোষণা করে জানিয়েছে, এতে আইএএফ—এর অপারেশনাল কার্যক্রমের কোনো ক্ষতি হয়নি। এই হামলায় যুদ্ধবিমান, ড্রোন, অন্যান্য বিমান, যুদ্ধাস্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করেছে তারা।
এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। মোট ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে দেশটিতে হামলা চালানো হয়েছিল বলেও দাবি করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি। এই হামলার ফলে ইসরায়েলের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ১ কোটি মানুষ আশ্রয় নেয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী দাবি করেছে, তারা অধিকাংশ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে আগেভাগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে ইরান দাবি করেছে, তাদের ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এদিকে, ইরান দাবি করেছিল—তারা বেশ কিছু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু আইডিএফ দাবি করেছে, ইরান কোনো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তাদের দেশে নিক্ষেপ করেনি।