রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস নিয়ে চলছে তোলপাড়। ভিডিও ফাঁসের পরদিন গত শুক্রবার বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন ডাবলু সরকার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কে বা কারা ডাবলু সরকারকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এডিট করা একটি অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে তার সম্মানহানির চেষ্টা করছে। একটি অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক পেজে এটি ছড়ানো হয়েছে। ওই অনলাইন পোর্টালে লেখা আছে, একজন নারীর সঙ্গে তার আপত্তিকর ভিডিও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের মাধ্যমে ভিডিওর বিষয়টি অবগত হয়েছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার কথা ওই অনলাইন পত্রিকায় লেখা থাকলেও এখন পর্যন্ত ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাতনামা কেউ নিজ স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে মিথ্যা মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রচারণা করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। স্থানীয়ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির উপক্রম হয়েছে।
মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। ‘নতুন সময়’ নামের একটি অনলাইনের লিঙ্ক উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে। গতকাল শনিবার দুপুরে অভিযোগটি মামলা আকারে রেকর্ড করা হয়।
এই ভিডিওর বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। রাজশাহীর কোনো মেয়ে বলতে পারবে না কাউকে কখনো আমি কুপ্রস্তাব দিয়েছি। ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে কি না সেটিও পুলিশকে তদন্তের জন্য বলেছি। আমি দোষী হলেও তা তদন্তেই প্রমাণিত হবে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।’
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘ভিডিওটি নিয়ে আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। ভিডিওটি সত্য না মিথ্যা তাও বুঝতে পারছি না। এ জন্য আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করুক। যদি সত্য হয়, তাহলে ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে ব্যবস্থা নেবে। আর মিথ্যে হলে দোষীরা আইনের আওতায় আসবে।’
মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, মামলার তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবে ভিডিওটিও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।