নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবার বিক্ষোভ শুরু করেছেন আফগানিস্তানের বেশ কিছু নারী অধিকারকর্মী। গতকাল রোববার দেশটির সাবেক নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী বলেন, নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় অবশ্যই পুনরায় চালু করতে হবে। নারীদের সরিয়ে দেওয়া মানে মানুষকেই সরিয়ে দেওয়া। অপর এক নারী অধিকারকর্মী বলেছেন, মেয়েদের বাড়িতে রেখে, তাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে, তাদের স্কুলে যেতে না দিয়ে আফগান নারীদের দমানো যাবে না।
এদিকে, নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, গত মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যাওয়ার পর তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে মন্ত্রণালয়ে তাদের কাজে ফেরার চেষ্টা করেছেন। তারা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ঢুকতে চেয়েছেন। কিন্তু তালেবান তাদের কাজে ফিরতে দেয়নি।
অন্যদিকে, তালেবানরা নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক মন্ত্রণালয় করেছে। নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামফলক মুছে ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামফলক। তালেবানের আগের আমলে এই নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছিল। তখন এই মন্ত্রণালয় তালেবানের কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছিল।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল। তখন তারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। নিষিদ্ধ করেছিল বাইরে নারীদের চাকরি করা।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা নারীর অধিকার সুরক্ষা করবে। কিন্তু নারীর অধিকার সুরক্ষায় তালেবানের কাজের সঙ্গে তাদের প্রতিশ্রুতির কোনো মিল এখন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।