দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নতুন করে যৌথভাবে মিসাইল ছুড়েছে ইরান ও ইয়েমেন। রোববার শেষরাতে এসব মিসাইল ছোড়া হয়। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দখলকার ইসরায়েলের অঞ্চলে একাধিক
বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, কয়েক মিনিটের মধ্যে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠবে।
সাধারণ ইসরায়েলিদের বোমা শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ড।
এর আগে রোববার রাতে দখলদারদের লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়ে ইরান। যা তাদের বন্দরনগরী হাইফায় সরাসরি আঘাত হানে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও নতুন এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জারি করে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দিকে ‘নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইরান ইসরায়েলের ওপর নতুন আক্রমণ শুরু করেছে।
ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের বাংলা বিভাগের সম্পাদক আশরাফুর রহমান জানিয়েছেন, ইসরায়েলে ৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। তেল আবিবে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্যবস্তু করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, কিছুক্ষণ আগে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। নাগরিকদের সুরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইরানের ভেতরে একের পর এক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, বিশেষ করে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, তেল ও গ্যাস স্থাপনাগুলোতে। এতে ইরানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের মৃত্যু হয়েছে। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।